ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় সওজের জায়গায় বিএনপির কার্যালয় !

ওওওওওনাজিম উদ্দিন, পেকুয়া ::

সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজের) জায়গায় স্থাপিত হয়েছে পেকুয়া বিএনপির প্রধান কার্যালয় ।  প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মুল্যবান ওই জায়গা সড়ক ও জনপদ বিভাগের মালিকানাধীন। তবে সম্পুর্ন জবর-দখল করে বিএনপি ওই জায়গটিতে নিজেদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্থাপন করেছেন দলীয় কার্যালয়। খোদ পেকুয়ার প্রধান ব্যস্ততম বানিজ্যিক কেন্দ্র আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী পেকুয়া বাজারে) রাজনৈতিক দল বিএনপির এমন জবর দখল নিয়ে ব্যবসায়ী ও পেকুয়ার সচেতন মহল এনিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

গত কয়েক বছর ধরে সরকারের বিপুল রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ওই জায়গা বিএনপির কব্জায় থাকলেও সংশ্লিষ্ট সড়ক ও জনপদ বিভাগ ও প্রশাসন নির্বিকার রয়েছেন। সড়ক দখললের পাশাপাশি ওই কার্যালয়ে স্থাপিত অংশটি তৈরি হয়েছে পেকুয়ার পানি নিষ্কাশনের অন্যতম মোকাম কহল খাল দখল করে।

এদিকে চকরিয়া-মগনামা সড়কের গুরুত্বপুর্ন পেকুয়া বাজারে সম্মুখ ভাগে বিএনপির কার্যালয় তৈরি হওয়ায় বিঘিœত হচ্ছে জনস্বার্থ। সড়ক সরু হওয়ায় পেকুয়া বাজারে শুধু বিএনপির কার্যালয়ের কারনে প্রতিনিয়ত লেগে রয়েছে যানজট। সড়কের উপরে এসেছে বিএনপি অফিস। যান চলাচল ছাড়াও মানুষও চলাফেরা দুষ্কর হয়েছে। পেকুয়া বাজারের বিপুল অংশে মানুষ পায়ে হেটে যাতায়তের জন্য ফুটপাত রয়েছে। কিন্তু বিএনপির অফিস সড়কের জায়গায় হওয়ায় ওই স্থানে ফুটপাত নেই। পেকুয়ায় দুর্ঘটনা ও জনর্দুভোগের প্রধান কারন হচ্ছে ওই বিএনপি অফিস। এছাড়া বিএনপির নেতারা অফিসের আশপাশের আরো বিপুল অংশ জবর-দখল করে নতুন নতুন স্থাপনা নির্মান কাজ অব্যহত রেখেছে। জানাগেছে বিএনপির কার্যালয় অন্যত্রে ছিল।

বাজার এলাকা হচ্ছে পেকুয়ার রাজনীতির নিয়ন্ত্রন স্থান। আন্দোলন কর্মসুচীতে ব্যবসা বানিজ্য স্তব্দ করতে তারা কৌশলে পেকুয়া বাজারে দলীয় কার্যালয় সম্প্রসারন করে। গত সরকার পতন আন্দোলনে ওই অফিস উপজেলার প্রধান শক্তি হিসেবে সেখান থেকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা নাশকতায় জড়িয়ে পড়ে। একাধিকবার পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। নিহত হয়েছিল একজন ছাত্র। গুলিবিদ্ধ হয়েছে একাধিক। আ’লীগকে পেকুয়া থেকে বিতাড়িত করার মুল শক্তি হচ্ছে বিএনপি কার্যালয়।

ক্ষমতাসীন দল বাজারের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থান সুসংহত করলেও বিএনপি পুর্বপার্শে তাদের অবস্থান দৃঢ় করে। বাজারের পুর্ব পাশে হচ্ছে তাদের দলীয় প্রধান কার্যালয়। এতে করে তাদের শক্তির সুসংহত হয় সেখানে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীক প্রধান স্থানে বিএনপির কার্যালয় থাকায় যেকোন মুর্হুতে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতির হওয়ার আশংকায় ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন থাকেন প্রায় সময়।

পেকুয়া উপজেলা আ’লীগ সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম জানিয়েছেন সড়ক দখল করে বিএনপির দলীয় কার্যালয় অবৈধ ভাবে হয়েছে। সেটি অপসারন হতে হবে। যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মো. বারেক বলেন তারা ওই অফিস থেকে নাশকতা করে আসছে। গাড়ি ভাংচুর ও পুঁড়ছে অহরহ। স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ওসমান গনি জানান মোকাম দখল করার জন্য বিএনপি অবৈধভাবে বাজারে অফিস করে। তারা ওই অফিস থেকে আমাদেরকে একাধিকবার হামলা চালায়।

সৈনিকলীগ সভাপতি সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম হিরু, সম্পাদক সাংবাদিক মো.ফারুখ জানিয়েছেন আমরা এ অবৈধভাবে সরকারি জায়গায় গড়ে উঠা অফিস উচ্ছেদ করতে শীঘ্রই আদালতের আশ্রয় নেব। জানতে চাইলে পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সদর ইউপির চেয়ারম্যান এম.বাহাদুর শাহ এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মারুফুর রশিদ খান জানিয়েছেন বিএনপির ওই অফিসটি সম্পুর্ন সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গায় হয়েছে। তবে আমি পেকুয়ায় আসার অনেক আগে হয়েছে।

পাঠকের মতামত: